
বলরাম দাশ অনুপম, কক্সবাজার থেকে ॥
অবরোধ-হরতালের নামে সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজারেও বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নাশকতা ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। নাশকতাতো দূরের কথা বিএনপি-জামায়াতের কোন নেতাকর্মীকে মাঠেই নামতে দিচ্ছে না পুলিশ। এদিকে ৫ জানুয়ারীর পর থেকে ২৫ জানুয়ারী পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার ৮টি থানায় সন্ত্রাস, নাশকতাসহ নানা অভিযোগে বিএনপি-জামায়াতের প্রায় সহ¯্রাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মোট ৩৩টি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। আর এসব মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে মোট ৩৪৪ জন আসামীকে। এছাড়া বিএনপি-জামায়াতের শক্ত খাঁটিতে প্রতিদিনই র্যাব সদস্যদের সাথে নিয়ে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। কিছু কিছু স্থানে বিজিবির সহযোগিতা নেওয়ার কথাও বলেছেন পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ। তিনি যুগান্তরকে জানান-কক্সবাজার পর্যটন জেলা হিসেবে এখানে নিরাপত্তা যথাযথই দেয়া হচ্ছে পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের। বিএনপি-জামায়াতসহ নাশকতাকারীদের বিরোধী চলমান অভিযান অব্যাহত রাখার কথা জানিয়ে তিনি বলেন-কক্সবাজার ভ্রমণে আসতে ইচ্ছুক পর্যটকদের কঠোর নিরাপত্তা দেয়া হবে। জানা যায়-গত ৫ জানুয়ারী থেকে অনির্দ্দিষ্ট কালের অবরোধের ঘোষণা দেন ২০ দলীয় নেত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। এরপর থেকে সারাদেশের ন্যায় জেলার বিভিন্ন স্থানে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা মিছিল-মিটিং ও পিকেটিং শুরু করে। এক পর্যায়ে হরতাল-অবরোধের মাঝেও রাস্তায় নেমে আসা পণ্যবাহী গাড়ী, যাত্রীবাহী বাস সহ বিভিন্ন যানবাহন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণ, আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপরও হামলা চালায় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা। প্রকাশ্যে মাঠে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের মিছিল-মিটিং ও পিকেটিং করতে দেখা না গেলেও চোরাগুপ্তা হামলা চালিয়ে তারা ধ্বংসাত্বক কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছে। গত ২১ জানুয়ারী কক্সবাজার শহরে নাশকতা সৃষ্টির উদ্দ্যেশ্যে মজুদ করা ৪টি পেট্রোল বোমা সহ পুলিশ আটক করে ২ জন ছাত্র শিবির কর্মিকে। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে-৫ জানুযারী থেকে ২৫ জানুয়ারী পর্যন্ত কক্সবাজার সদর মডেল থানায় ২১, রামু থানায় ৫, চকরিয়া থানায় ১৫, পেকুয়া থানায় ৭, কুতুবদিয়া থানায় ৪, মহেশখালী থানায় ১৭, উখিয়া থানায় ৯ ও টেকনাফ থানায় ১০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর এসব মামলায় আসামী করা হয়েছে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের।
পাঠকের মতামত